বাচ্চাদের নিরাপদ খেলনাঃ প্রতিটি বাবা-মা ই সন্তানের মুখে হাসি দেখতে চায়। তাই বাবা-মা সব সময়ই সোনামণিকে নতুন নতুন অনেক খেলনা কিনে দিয়ে থাকেন।
খেলনা কেনার সময় অধিকাংশ বাবা-মা প্রথমেই বাজেটের কথাটা ভাবে। এখানেই সবাই ভুলটা করে থাকে। হ্যাঁ বাজেট মেনেই সবাই খরচ করবে। তবে আমার মতে যেটা সবার আগে দেখা উচিত তা হল শিশুর সেফটি। কারণ আপনার সন্তান সুস্থ থাকলেই আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন।
কিন্তু প্রতিটি খেলনাই কি নিরাপদ আপনার শিশুর জন্য?? ভেবে দেখেছেন কি?
আপনার উত্তর যদি না হয়, তাহলে আপনি কি জানেন কিভাবে সেফ খেলনা কিনতে হয়?
আসুন আজকে আমরা জানি খেলনা কেনার সময় কোন কোন জিনিসগুলো খেয়াল রাখা উচিত।
➽ ইলেকট্রিক খেলনা পরিহার করুন
এখন বাচ্চাদের অনেক মজার মজার ইলেকট্রিক খেলনা পাওয়া যায়। আপনার সোনামণি ও হয়তো বায়না ধরবে মজার ও আকর্ষণীয় এমন সব খেলনা কিনে দিতে। তবে আপনি চেষ্টা করবেন ১০ বছরের আগে বাচ্চার হাতে কোন ইলেকট্রিক সকেট ওয়ালা খেলনা না তুলে দিতে। বাচ্চারা না বুঝে অনেক সময় সকেটের মধ্যে আঙ্গুল সহ দিয়ে দেয় এবং এতে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। তাই সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে একটা সময় পর্যন্ত ইলেকট্রিক খেলনা পরিহার করুন। যখন আপনার সোনামণি বুঝতে শিখে যাবে তখন কিনে দিন, যাতে সেফটির ব্যাপারটা বুঝেই শিশু খেলতে পারে।
➽ খেলনার লেবেলটি পড়ুন
লেবেলে খেলনা সম্পর্কে তথ্য দেয়া থাকে, কিভাবে ব্যবহার করতে হবে, কত বছরের বাচ্চার জন্য উপযোগী। শিশুকে খেলনা হাতে দেয়ার পূর্বে কিভাবে সঠিক ভাবে খেলনা ব্যবহার করতে হয় তা শিখিয়ে দিন। খেলনা কি উপাদান দিয়ে তৈরি, শিশু মুখে দিলে কোন ক্ষতি হবে কিনা তা কেনার আগেই যাচাই করে নিন।
➽ রাইডিং টয়
হয়তো আপনার আদরের সোনামণি অনেক দিন ধরেই একটা সাইকেলের বায়না করছে। অথবা অন্য কোন রাইডিং টয়! দোকানে গিয়ে যেকোনো রাইডিং টয় কেনার সময়ই সাথে একটা হেলমেট কিনে দিন। এতে করে বাচ্চা পরে গেলে ও ব্যথা কম পাবে এবং গুরুতর জখম হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
➽ বড় খেলনা কিনুন
খেলনা কেনার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন খেলনা বাচ্চার মুখের সাইজের বড় কিনা। সব বাচ্চাদেরই যখন দাঁত উঠতে শুরু করে তখন সব কিছু মুখে দিতে চায়, মুখে দিয়ে চিবাতে চায়। এতে করে খেলনা গিলে ফেলার বা মুখে দেয়ার ভয় থাকে।
➽ উড়ন্ত খেলনা এড়িয়ে চলুন
বাতাসে উড়ে এমন খেলনাগুলো এড়িয়ে চলুন। শক্ত কাঠামোর কারণে চোখে আঘাত পাওয়ার আশংকা থাকে। তবে হালকা খেলনা, বেলুন হলে কোন সমস্যা নেই।
➽ উচ্চ শব্দ যুক্ত খেলনা কিনবেন না
উচ্চ শব্দ যুক্ত খেলনা বাচ্চাদের শ্রবণশক্তি হ্রাস করে। অথবা সোনামণির কানের স্থায়ী কোন সমস্যা হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন কম শব্দযুক্ত খেলনা কিনতে।
➽ সহজে পরিষ্কার / ধোঁয়া যায় এমন খেলনা বাছাই করুন
হামাগুড়ি দিতে শেখার পর থেকেই বাচ্চারা সারা রুম ঘুরে বেড়ায়। দেখা যায় ফ্লোরে শুয়ে বসে খেলনা দিয়ে খেলছে। এতে করে সোনামণির সাথে সাথে তার খেলনাও ময়লা হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন ধোঁয়া যায় এমন খেলনা কিনতে। এতে করে আপনার সোনামণির সুস্থতা নিশ্চিত হবে অনেকখানি।
আপনার সন্তানকে সেফ খেলনা তুলে দিলেই আপনার সন্তান সেফ থাকবে। আজকের এই আর্টিকেল পড়ার পর আশা করি খেলনা কেনার সময় আপনিও উপরের পয়েন্টগুলো ভেবে আপনার সোনামণির হাতে সেফ খেলনাটিই তুলে দিবেন।